মজার মজার কৌতুক পড়ে যদি হাঁসতে হাঁসতে গাল ব্যাথা ও পেটে খিল ধরাতে চান তাহলে আমাদের সঙ্গেই থাকুন , আর Visit করুন - http://www.funnykoutuk.blogspot.com/ শেয়ার করে বন্ধুদেরও হাঁসান । সাথে সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ : যাদের হার্ড দর্বল তারা ভুলেও কৌতুক পড়বেন না। আর পড়লেও নিজ দাযিত্বে পড়বেন। ****: বদিউজ্জামান ( রুবেল )
*** কৌতুক পড়ে যদি হাঁসতে হাঁসতে পেটে খিল ধরাতে চান, গাল দুটো ব্যাথা বানাতে চান , তাহলে Funny Koutuk এই সাইটটি নিয়মিত Visit করুন । যদি বন্ধুদেরও হাসাতে চান তাহলে শেয়ার করুন । সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরন : যারা হার্টের রুগী তারা ভুলেও কৌতুক পড়বেন না, আর যদি পড়েন তাহলে নিজ দায়িত্বে পড়বেন। *** বদিউজ্জামান ( রুবেল ) ***

Friday, January 29, 2016

সাধারণ জ্ঞান

এক উকিল হাইওয়ে বাসে মলি আন্টির পাশের সিটে বসলেন।
মলি আন্টির শকলের সুষমা আর তনুর তনিমা দেখে উকিলমশায় বড়ই আমোদিত হলেন। ছুতো খুঁজতে থাকলেন তার সাথে কথা বলার জন্য।
“আচ্ছা ম্যাডাম” বললেন উকিল। “আপনি মনে হয় বেশ বোর হয়ে আছেন। চলেন একটা খেলা খেলি। খেলাটা খুব দারুণ।”
মলি আন্টি বেশ একটা পাত্তা না দিয়ে জানালার কাঁচের উপর মুখ থুয়ে নির্বিকার পড়ে রইলেন।
“দেখুন ম্যাডাম।”, বললেন উকিলটা। “আপনি হয়তো আমাকে মিনসে ভাবছেন। আমি আবারও বলছি, খেলাটা কিন্তু বেশ মজার। আমি আপনাকে একটা প্রশ্ন করবো, তারপর আপনি পাল্টা একটা করবেন, এভাবে।”
মলি আন্টি এবারও নিরুত্তর। তিনি জানালার কাঁচে মুখ গুঁজে ঠায় বসে রইলেন।
উকিল বললেন, “ঠিকাছে। প্রথমে আমি আপনাকে একটা প্রশ্ন জিজ্ঞেস করব। যদি আপনি উত্তর দিতে না পারেন তবে আমাকে পাঁচ টাকা দেবেন। তারপর আপনি করবেন, আর আমি আটকে যাই তাহলে দেব পাঁচশো টাকা।
মলি আন্টি এবার হুড়মুড়িয়ে উঠে পড়লেন। “আচ্ছা ঠিকাছে, ঠিকাছে। আপনার প্রশ্নটা কি শুনি?”, বললেন তিনি।
উকিল সাহবে বললেন, “বলুন তো দেখি, পোস্তগলা থেকে মগবাজারের দূরত্ব কত?”
মলি আন্টি এতিমের মত তাকিয়ে থাকলেন কতক্ষণ। “তারপর নিজের পার্স থেকে একটা পাঁচটাকার ময়লাটে নোট বের করে দিলেন।”
“এবার আমার পালা, তাইতো?” বললেন মলি আন্টি। “আচ্ছা বলেনতো দেখি, কোন জিনিসটা পাহাড়ে উঠে তিন পা দিয়ে, অথচ নেমে আসে চার পা দিয়ে।”
প্রশ্ন শুনে উকিল মশায়ের মাথায় বাজ পড়লো যেন। তিনি প্রথমে নিজের ল্যাপটপ খুলে বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত ঘাটাঘাটি করলেন। কিন্তু জবাব মিললো না। তারপর মোবাইল বের করে তার পণ্ডিতপুঙ্গব বন্ধুদের ফোন দিলেন। তাদের কেউ কোন সমাধান দিতে পারলো না। এরপর উকিল সাহবে মোডেম বের করে ইন্টারনেটে গুগল চষে বেড়ালেন। খোদ গুগলও নিরুত্তর। এভাবে বিভিন্ন মাধ্যমে প্রায় ঘন্টাখানেক উত্তরটা বিচড়ে দেখলেন তিনি। ততক্ষণে মলি আন্টি ঝিমুচ্ছেন। উকিল মশায় তাঁকে একটা চকচকে পাঁচশো টাকার নোট বাড়িয়ে দিয়ে দিয়ে বললেন, “ম্যাডাম, এমন কঠিন প্রশ্নতো আমি এই ইহজীবনে শুনিনি।”
মলি আন্টি উকিল মশায়ের হাত থেকে পাঁচশতি নোটটা পার্সে ভরে নিয়ে চেইন লাগিয়ে দিলেন।
“কিন্তু ম্যাডাম…”, সবিনয়ে বললেন উকিল, “এই প্রশ্নের উত্তরটা কি?”
মলি আন্টি তার পার্সটা আবারো খুললেন। আরেকটা পাঁচ টাকার নোট উকিলটাকে গছিয়ে দিয়ে পার্সের চেইন এঁটে ফের ঝিমুতে শুরু করলেন।

অন্যরা এখন যা পড়তেছে